ইন্টারনেটে
ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার জন্য যন্ত্র এবং অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দুটিরই প্রয়োজন রয়েছে। কীভাবে ইন্টারনেটকে নিরাপদ ও উন্নত করা যায়, তা নিয়ে কথা বলেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপণ্য আমদানি ও বাজারজাতকরণ প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারিকুর রহমান খান।
প্রযুক্তিপণ্য বিক্রেতা ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইন্টারনেট নিরাপদ করতে আপনাদের কোনো উদ্যোগ আছে?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: স্মার্ট টেকনোলজিস সব সময়ই দেশের সর্বস্তরের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের চাহিদা এবং সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৬০ লাখ। বিশাল এই জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট দেখছে এবং নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলছে। আমরা এই জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ রাখতে ক্যাসপারস্কি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য, যেমন ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস, ক্যাসপারস্কি ইন্টারনেট সিকিউরিটি, ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস, ক্যাসপারস্কি মোবাইল সিকিউরিটি এবং ক্যাসপারস্কি টোটাল সিকিউরিটি বাজারজাত করছি। আমাদের ডিলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসব পণ্য খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও বিশেষায়িত নিরাপত্তা সেবা রয়েছে।
নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে অ্যান্টিভাইরাস কীভাবে সহায়তা করে?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে অ্যান্টিভাইরাস আপনাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে পারে। যেমন কেউ যদি কম্পিউটারে ক্যাসপারস্কি ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে প্রথমেই আপনি পাবেন প্রো–অ্যাক্টিভ ডিটেকশন সুবিধা। মানে, কোনো ওয়েবসাইটে ঢোকার আগেই সেখানে কোনো ঝুঁকি আছে কি না, তা খুঁজে বের করার পাশাপাশি যেকোনো সাইবার হামলা প্রতিহত করবে। তা ছাড়া আপনার ব্রাউজিং, কেনাকাটা, চ্যাট এবং কম্পিউটারের যেকোনো তথ্যকে কি–লগার, অ্যাডওয়্যার, ফিশিং, রুটকিট এবং হ্যাকারদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখে।
অ্যান্টিভাইরাসটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সুবিধা কাজ লাগিয়ে কী কী উপকার পাওয়া সম্ভব?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহারের মাধ্যমে ক্যাসপারস্কি ক্ষতিকর ও অপ্রাসঙ্গিক কনটেন্ট ব্লক করে দেয়। পাশাপাশি শিশুদের স্ক্রিনটাইম (ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়) সীমাবদ্ধ করা যায়। তা ছাড়া জিপিএসের মাধ্যমে শিশুদের অবস্থান নির্ণয়েরও সুযোগ রয়েছে ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস সফটওয়্যারে।
নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে সচেতনতা। বিশেষ করে, অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত। অপ্রয়োজনে আপনার যন্ত্রের কানেকটিভিটি ফাংশনগুলো, যেমন ব্লুটুথ, হটস্পট, জিপিএস বন্ধ রাখাই ভালো।