আসছে দেশে তৈরি তিন চাকার বৈদ্যুতিক ‘বাঘ’

‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা পরিবেশবান্ধব বিশ্বমানের এই অ্যাপভিত্তিক বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারটি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করা হবে

আসছে দেশের প্রথম অ্যাপভিত্তিক পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ইকো-ট্যাক্সি “বাঘ”।

রবিবার (২০ মার্চ) বাঘ ইকো মোটরস লিমিটেডকে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারটি উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ।

অনলাইন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে “বাঘ ইকো মোটরস লিমিটেড”-এর প্রেসিডেন্ট কাজী জসিমুল ইসলাম বাপ্পি জানান, দীর্ঘ ৪২ মাস পর গত ১৬ মার্চ বিআরটিএ থেকে “বাঘ”-কে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। ফলে, এখন আর সড়কে চলতে বাধা নেই পরিবেশবান্ধব এই বাহনটির।

“মেইড ইন বাংলাদেশ” লেখা বিশ্বমানের এই গাড়িটি দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হবে। ইতোমধ্যে ভারত, সুদান, কম্বোডিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইথিওপিয়াসহ কয়েকটি দেশ “বাঘ” কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জসিমুল ইসলাম বাপ্পি জানান।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইজিবাইকগুলোতে অ্যাসিড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় যেগুলো অবৈধ বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ হয়। এতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ অপচয় হয়। কিন্তু, “বাঘ”-এ থাকছে উন্নতমানের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। বাহনটির ব্যাটারি ও চার্জারে থাকবে মাইক্রোচিপ। ব্যাটারি ও চার্জার বৈধ সংযোগ ছাড়া কাজ করবে না।

এছাড়াও, সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জিং সিস্টেম ও সোয়াপ (ব্যাটারির চার্জ সিস্টেম) থাকায় চার্জের জন্য “বাঘ” থেমে থাকবে না। একবার চার্জে ১৪০ কিলোমিটার এবং সৌরবিদ্যুতে আরও ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার চলতে পারবে “বাঘ”।“বাঘ” চার্জে বিদ্যুৎ ব্যয় কম উল্লেখ করে তিনি জানান, আগে প্রতি ইউনিটে ১৭ টাকা খরচ হলেও “বাঘ”-এর ক্ষেত্রে তা কমে ৭ টাকা হবে। ফলে কিলোমিটার প্রতি খরচ পড়বে ৪০-৪৫ পয়সা।

নির্মাতারা জানান, বিশ্বের প্রথম অ্যাপভিত্তিক গাড়ির প্রতিষ্ঠান “বাঘ”। কেননা, পাঠাও, উবারসহ প্রচলিত রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোর নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই। প্রাথমিকভাবে ২০ লাখ মানুষকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি শব্দহীন এই গাড়িটির ব্যাটারিতে পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টি ও দুই বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টিসহ প্রথম পক্ষ পাবে বিমার সুবিধাও।

“বাঘ”-এ চালকসহ মোট সাত জন বসতে পারবেন। থাকছে জিপিএস, ওয়াইফাই, সিসিটিভি ক্যামেরা, টেলিভিশন ও মোবাইল ব্যাংকিং-এর সুবিধা। মানসম্পন্ন ইস্পাতের কাঠামো দিয়ে তৈরি বাহনটি সিএনজি কিংবা অটোরিকশার তুলনায় দুর্ঘটনায় টেকসই হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।

গাজীপুরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি “বাঘ” তৈরি করা হয়েছে। সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর এখন দৈনিক ৩ হাজার “বাঘ” উৎপাদন করা হবে বলে এই উদ্যোক্তা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are makes.