সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে সকাল থেকেই রাজধানীর অলিগলি ও প্রধান সড়কগুলোতে তীব্র যানজট চোখে পড়ে। এতে ব্যাহত হয় মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা। গন্তব্যে পৌঁছাতে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককে।
প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর মিরপুর, আসাদগেট, বিজয় সরণি, কাজীপাড়া, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, আজিমপুর, পুরান ঢাকার বংশাল, নবাবপুর, গুলিস্তান, মতিঝিল, পল্টন, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মালিবাগ, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
এসব এলাকার বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা গাড়িগুলোকে একই স্থানে ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত আটকে থাকতে দেখা গেছে।
মিরপুর ৬০ ফিট পীরেরবাগ থেকে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে যেতে স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি সময় লেগেছে সাজ্জাদ রহমানের। জরুরি কাজে দ্রুত সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন থাকলেও যানজটের কারণে ব্যর্থ হয়েছেন।
পরীরেরবাগ থেকে পাসপোর্ট অফিস মাত্র দেড় কিলোমিটার পথ হলেও সেখানে পৌঁছাতে ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। দ্রুত সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। সময়মতো যেতে পারিনি বলে আমার কাজটিও হয়নি।
আসাদগেট থেকে যাত্রাবাড়ী যেতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছে সুমি আক্তারের। জরুরি প্রয়োজনে আত্মীয়র বাসায় যেতে আসাদগেট থেকে ১১টায় বাসে উঠলেও যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান ১টা ২৮ মিনিটে।
আজ অলিগলি থেকে সড়কের মোড়ে মোড়ে তীব্র যানজট। আসার পথে টানা এক কিলোমিটার সড়কজুড়ে গাড়িগুলো স্থির দাঁড়িয়েছিল।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, হানিফ ফ্লাইওভার, সাতরাস্তার মোড়, মগবাজার ফ্লাইওভারে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার ফ্লাইওভারের ওপরে যানজটে গাড়ি আটকে রয়েছে। কিছুক্ষণ পরপর গাড়িগুলোকে ধীরগতিতে এগোতে দেখা গেছে।
তীব্র যানজটের কারণে কাউকে উল্টো পথে, আবার কাউকে ফুটপাত দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি চালাতে দেখা গেছে। এদিন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে।
নগরবিদদের মতে, ঢাকায় ক্রমান্বয়ে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। কিন্তু তার সঙ্গে সমন্বয় করে সড়কের সীমানা নির্ধারণ ও নতুন সড়ক নির্মাণ না করায় যানজট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষ প্রতি মুহূর্তে এর ভুক্তভোগী হচ্ছে।