দুই শহরে করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন

covid-19

চীনের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত সাংহাইয়ে গতকাল মঙ্গলবার কোভিডে আক্রান্ত আরও ৪৮ জন মারা গেছেন। তবে এক দিনের ব্যবধানে ওই শহরে করোনায় মৃত্যু কমেছে। গত সোমবার সাংহাইয়ে করোনায় আক্রান্ত ৫২ জন প্রাণ হারান। আজ বুধবার নগর কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানায়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

এ ছাড়া গতকাল সাংহাইয়ে নতুন করে ১১ হাজার ৯৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ভাইরাসটির কোনো উপসর্গ ছিল না। এক দিন আগে সংখ্যাটা ছিল ১৫ হাজার ৩১৯। এদিকে উপসর্গ আছে, এমন আরও ১ হাজার ৬০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন শনাক্তের এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৬১।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র চীনে এখন পর্যন্ত করোনার সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখেছে সাংহাই শহর।

এদিকে চীনের রাজধানী শহর বেইজিংয়ে মঙ্গলবার স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া উপসর্গহীন ৩ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ আবার ছড়িয়ে পড়ার পর সাংহাইতে কয়েক সপ্তাহ ধরে কঠোর লকডাউন চলছে। নতুন করে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পর গত মার্চের শেষের দিকে চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র সাংহাইয়ে লকডাউন জারি হয়। এ সময় বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা হঠাৎ বাড়তে শুরু করায় চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের আবার করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহের সরকারি আশ্বাস সত্ত্বেও বেইজিংয়ের সুপারমার্কেট আর দোকানগুলোর বাইরে দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। করোনার শনাক্ত বাড়ায় এখানেও আড়াই কোটি বাসিন্দার শহর সাংহাইয়ের মতো কয়েক সপ্তাহ লকডাউন বিধিনিষেধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাসিন্দারা নিত্যপণ্য মজুতে তাড়াহুড়ো শুরু করেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে শহরটির সুপারমার্কেটের তাকগুলো খালি পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর গণহারে করোনা পরীক্ষা, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ও বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন দেওয়ার মধ্য দিয়ে কোভিডের সংক্রমণ ও মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনতে সক্ষম হয় দেশটি। এক বছরের বেশি সময় ধরে চীনে করোনাজনিত মৃত্যুহার শূন্য ছিল।

তবে সম্প্রতি করোনার অতিসংক্রামক অমিক্রন ধরনের কারণে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। গত ১৯ মার্চ চীনের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশে করোনায় আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হয়। এক বছরের বেশি সময় পর এটি ছিল চীনে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। এখন আবার প্রকোপ বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are makes.