পাকিস্তান ও ভারতের কয়েকটি অঞ্চলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে আজ মঙ্গলবার বিকেলে। পাকিস্তানের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কাশ্মীরের পূর্বাঞ্চলে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে ইউরোপিয়া মেডিটেরিনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের পাঞ্জাবের পাঠানকোট থেকে ৯৯ কিলোমিটার উত্তরে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) আলাদা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এবং পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার(১৩ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্বাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হনেছে। এ সময় রাজধানী দিল্লিসহ উত্তর ভারতের কিছু অংশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আঘাত হানা এই ভূমিকম্প কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভূমিকম্পের পর বেশ কিছু লোক টুইটারে এ নিয়ে বার্তা পোস্ট করেছেন। এ ছাড়া অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওতে ভূমিকম্পের জেরে একটি ঝাড়বাতি দুলতে দেখা গেছে।
এদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তানের লাহোর, ইসলামাবাদ ও পেশোয়ার। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, মঙ্গলবার দুপুরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সাক্ষী হয়েছে লাহোর, ইসলামাবাদ ও পেশোয়ার। এ সময় আশপাশের এলাকায়ও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
কম্পনের ফলে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং এর জেরে তারা বাড়িঘর ও ভবন থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে রাওয়ালপিন্ডি, ঝিলাম, হাফিজাবাদ, সোয়াত, আজাদ কাশ্মীর, নীলাম উপত্যকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে কম্পন সৃষ্টি করেছে।
গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানে একই সময় ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় তিন শিশু আহত হয়েছিল। এ ছাড়া সেই সময় নয়াদিল্লি ও এর আশপাশের এলাকায় মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছিল। আর মার্চে ভূমিকম্পে দুজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছিলেন। সেই সময় ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮।