নতুন এই সিমটি সরাসরি ফোনের মাদারবোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকবে
প্রথমবারের মতো এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল সিম কার্ড বা ই-সিম ব্যবস্থা চালু করছে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান গ্রামীনফোন।
নতুন এই সিমটি প্রচলিত প্লাস্টিকের সিমকার্ডের বদলে সরাসরি মাদারবোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। শুধুমাত্র ইনস্টল করা নির্দিষ্ট ডিভাইসেই এই ই-সিম ব্যবহার করা যাবে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বার্তায় গ্রামীণফোন জানিয়েছে, এখন থেকে গ্রামীণফোনের নতুন সিম কার্ড কেনার পাশাপাশি ব্যবহৃত নম্বরটি ই-সিম হিসেবে প্রতিস্থাপন করা যাবে। আগামী ৭ মার্চ থেকে গ্রাহকরা ই-সিম সংগ্রহ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ইতোমধ্যে অপারেটরদের জন্য ই-সিম অনুমোদন করেছে। তবে, অল্প কিছু সংখ্যক মডেলের ডিভাইসেই ই-সিম ব্যবহার করা যাবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ আইটি প্ল্যাটফর্ম বিনির্মাণে আগ্রহী ইইউ
দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিষয়ে স্কলারশিপ দেওয়া লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে একমত হয় বাংলাদেশ ও ইইউ
আইটি ব্যবসায়ীদের তথ্য আদান-প্রদানে মেলবন্ধনের লক্ষ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। প্রাথমিকভাবে এর নাম রাখা হয়েছে, “বাংলাদেশ-ইইউ আইটি কানেক্ট”।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকে ইইউ এর ‘‘হরাইজন’’ কর্মসূচির আওতায় দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উদ্ভাবনে বৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে একমত হয় বাংলাদেশ ও ইইউ।
এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার চারটি স্তম্ভ নির্ধারণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৩ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে দেশের আইসিটি খাত একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার আউটসোর্সিং খাত থেকে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক আরও জানান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় প্রযুক্তিনির্ভর জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অগমেন্টেট রিয়েলিটি (এআর), ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) ও রোবটিক্সসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
এছাড়া, ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি/আইটিইএস খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়, শতভাগ ইন্টারনেট ও সরকারি সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। সেই সঙ্গে আইসিটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইইউ-বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সহায়তা কামনা করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত জানান, অল্প সময়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাতসহ বিভিন্ন খাতের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে আরও এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে ইইউ পাশে থাকবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র কাউন্সিলর মারিজিও সিয়ানসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।