ভ্লাদিমির পুতিনকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা শুরুর পরে পুতিন অসুস্থ এবং তাঁর জীবন হুমকির মুখে—এমন গুঞ্জন একাধিকবার ছড়িয়েছে। অবশ্য এরও আগে পুতিন নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেন। ২০১৭ সালে পুতিন একবার প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচবার তাঁকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

ইউরো উইকলি বলেছে, যেখান থেকে পুতিনকে হত্যাচেষ্টার খবর ছড়িয়েছে, সেই টেলিগ্রাম চ্যানেলের তথ্যানুযায়ী, পুতিন যে লিমোজিন গাড়িতে চলাফেরা করেন, সেই গাড়ির সামনের বাঁ দিকের চাকায় জোরে আঘাত করা হয়েছিল। এতে গাড়িটি থেকে ধোঁয়া উড়তে থাকে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়।

তবে হত্যাচেষ্টার এ ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের শারীরিক কোনো ক্ষতি হয়নি। ইউরো উইকলি বলছে, এ ঘটনার পরে একাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অস্ট্রেলীয় ওয়েবসাইট নিউজ ডটকমসহ আরও কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে গাড়িবহর নিয়ে সরকারি বাসভবনে ফেরার পথে পুতিন এ ঘটনার শিকার হন।

ওই টেলিগ্রাম চ্যানেলে পরে হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ‘বাসভবনে ফেরার পথে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় পুতিনের গাড়িবহরের প্রথম গাড়িটির পথ আটকে দেয় একটি অ্যাম্বুলেন্স। একেবারে সামনে থাকা গাড়ি আচমকা থেমে যাওয়ায় পেছনে থাকা গাড়িটি না থেমে চারপাশে চক্কর দিতে শুরু করে।’
এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যার এক সপ্তাহ আগে সেন্ট পিটার্সবার্গে একদল রাজনীতিক দেশটির পার্লামেন্ট স্টেট ডুমার কাছে অনুরোধ জানান, পুতিনকে যেন ক্ষমতা থেকে অপসারিত করে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। এর কারণ হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক ক্ষয়ক্ষতি ও যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় দেশটির অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা বলা হয়। এসব রাজনীতিকের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট পুতিনের কারণে এমন ক্ষতির মুখে পড়েছে রাশিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are makes.