যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে চারজন মুসলিমকে হত্যার ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যে গত নয় মাসের মধ্যে চার জন মুসলিম ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘৃণাসূচক অপরাধ হতে পারে – বলছে পুলিশ।

এই রাজ্যের বৃহত্তম শহর আলবুকার্কির পুলিশ গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ঘটে যাওয়া তিনজন মুসলিমকে হত্যার তদন্ত করছে এবং এখন তারা সন্দেহ করছে যে গত বছর ঘটে যাওয়া আরেকটি খুনের ঘটনাও এর সাথে সম্পর্কিত।

সাড়ে পাঁচ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যার শহর আলবুকার্কিতে প্রায় পাঁচ হাজার মুসলিম বাস করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার টুইটারে এক বার্তা দিয়ে এ ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি লেখেন, “আলবুকার্কি-তে চারজন মুসলিম পুরুষের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে আমি ক্রুদ্ধ ও ব্যথিত।”

তিনি আরো লেখেন, “আমার প্রশাসন দৃঢ়ভাবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সাথে আছে। আমেরিকাতে এসব ঘৃণাপূর্ণ আক্রমণের কোন জায়গা নেই।

কী ঘটেছিল আলবুকার্কিতে

পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থাগুলো জানাচ্ছে, সবশেষ ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাতে, শরণার্থীদের সহায়তা দেয় এমন একটি প্রতিষ্ঠানের দফতরের পাশে।

পুলিশ মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানায়নি, তবে বলেছে বছর পঁচিশেক বয়সের দক্ষিণ এশীয় লোকটি একজন মুসলিম।

তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত দু’সপ্তাহের মধ্যে নিহত আরো দুজন মুসলিমের মৃত্যুপরবর্তী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফেরার কিছু পরেই নিহত হন তিনি নিজেও।

আলবুকার্কিতে এর আগে আরো দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটে গত জুলাই এবং আগস্ট মাসে । পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুহম্মদ আফজাল হোসেন তার নিজ ফ্ল্যাটবাড়ির সামনে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন পয়লা আগস্ট, আর জুলাইয়ের ২৬ তারিখ ৪১ বছর বয়স্ক আফগান বংশোদ্ভূত আফতাব হুসেইনের মৃতদেহ পাওয়া যায় শহরের আরেকটি এলাকায়।

পুলিশ এখন সন্দেহ করছে যে গত বছর নভেম্বর মাসে একজন আফগান মুসলিম লোককে গুলি করে হত্যার যে ঘটনা ঘটেছিল – তার সাথে সর্বসাম্প্রতিক এই তিনটি খুনেরও সম্পর্ক আছে।

নভেম্বর মাসের ৭ তারিখ একটি হালাল সুপারমার্কেট ও ক্যাফের বাইরের কারপার্কে ৬২ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ আহমাদির মৃতদেহ পাওয়া যায়।

রাজ্যের গভর্নর মিশেল লুজান গ্রিশাম এগুলোকে “মুসলিম বাসিন্দাদের টার্গেট করে হত্যার ঘটনা” বলেই বর্ণনা করেন।

গত নয় মাস সময়ের মধ্যে এই চারটি হত্যাকাণ্ড আলবুকার্কি শহরের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

রোববার পুলিশ একটি সন্দেহজনক গাড়িকে চিহ্নিত করার জন্য স্থানীয় জনগণের সহায়তা চেয়েছে। শহরটিতে নামাজের সময় মসজিদগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are makes.