এশিয়া কাপ ২০২২: শ্রীলঙ্কার টুর্নামেন্ট কেন আমীরাতে, কে কবে কোথায় খেলবে?

এশিয়া কাপের ১৫তম আসর শুরু হতে যাচ্ছে এই মাসের শেষে, ইতোমধ্যে সূচি চূড়ান্ত হয়েছে, পাকিস্তান এশিয়া কাপের জন্য দলও ঘোষণা করেছে।

অগাস্টের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপ চলবে ১১ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে প্রতি আসরের আগেই একটা দেন দরবার চলে, কখনো পাকিস্তানে এশিয়া কাপ হলে ভারত খেলতে যেতে চায়না, আবার কখনো ভারতে হলে পাকিস্তান।

এবারে এশিয়া কাপ আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়, কিন্তু বিপত্তি হয়ে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।

গণমাধ্যমে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার সচিব মোহন ডি সিলভা বলেছেন, “শ্রীলঙ্কার যে পরিস্থিতি তা এর সাথে সম্পর্কিত সবার মনোপুত হয়নি।”

তিনি বলেছেন, “শুধু অংশগ্রহণকারী দেশই এখানে মুখ্য নয়। পেট্রোলের জন্য লাইন দিয়ে আছে মানুষ এবং আরও যত বিশৃঙ্খলা দেখানো হয়েছে শ্রীলঙ্কায় তা একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।”

মি. সিলভার মতে, এই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনে ব্রডকাস্টার, স্পন্সররাও বড় ভূমিকা রাখেন, তাদের কাছেও নেতিবাচক প্রচারই বেশি ভূমিকা রেখেছে।”

‘নেতিবাচক প্রচার’ বলতে তিনি বুঝিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা।

শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি

শ্রীলঙ্কায় বড় ঋণ ও বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে যে সামগ্রিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে জ্বালানী এমনকি খাবারেরও সংকট দেখা গেছে।

হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ এবং অন্য সরকারি ভবনগুলোয় ঢুকে পড়ার পর জুলাই মাসের শেষ ভাগে প্রেসিডেন্ট গোটাভায়া রাজাপাকশা শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে গিয়েছিলেন।

শ্রীলঙ্কায় জনগণের মধ্যে জনপ্রিয়তা না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন সেদেশের সংসদ সদস্যরা।

ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাশলে ডি সিলভা বলেছেন, “এমন একটা পরিস্থিতিতে স্পন্সরদের রাজি করানোই ছিল কঠিন। এমনকি যারা সম্প্রচারের কাজ করবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও ছিল কঠিন। অন্য দেশ থেকে তারা শ্রীলঙ্কা আসার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।”

ব্রডকাস্টারদের শ্রীলঙ্কায় আনা মুশকিল

অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানের মতো দল অবশ্য এই সংকটের মাঝেই সিরিজ খেলে গেল সম্প্রতি, সেখানেও শ্রীলঙ্কার বাইরে থেকে সম্প্রচারকরা এসেছিলেন।

এমনকি অন্যতম ভেন্যু গলের বাইরেই বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়েছিলেন, কোনও অঘটন ছাড়াই তারা সিরিজ খেলে দেশেও ফিরে গেলে কিছুদিন আগেই।

ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার থেকে বলা হচ্ছে, “থাকার জায়গা, নিরাপত্তার ব্যবস্থা একটা দলের জন্য যা, চারটি বা পাঁচটি দলের জন্য আরও অনেক বেশি, এটা এখন বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে দেশটির জন্য।”

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড এখন তাদের নিজেদের টুর্নামেন্ট লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগই আয়োজন করতে পারছে না, অগাস্টেই এটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল, এটি রিশিডিউল করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে নভেম্বরে নিয়ে গেছে বোর্ডটি।

ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাশলে ডি সিলভা আরও বলেছেন, “লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে স্পন্সরদের সাথে কথা হয়েছে, তাদের মতে সব ফ্র্যাঞ্চাজির স্পন্সররা এখন মনে করছেন না এই টুর্নামেন্ট চালানো খুব একটা ভালো সিদ্ধান্ত হবে।”

প্রতিটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট ইভেন্টে পয়সা ঢেলে প্রচার চায়, শ্রীলঙ্কার অবস্থা এখন তাদের সুবিধার মনে হয়নি।

শ্রীলঙ্কার প্রতি সমর্থন

তবে লঙ্কান বোর্ডের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এশিয়ার অন্য সদস্য দেশগুলো এই সময়ে বেশ সমর্থন দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে, এমনকি তারা এও বলেছেন যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান।

ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, প্রতিবেশি দেশগুলোকে যারা এই সময়েও তাদের বোর্ডের পাশে ছিলেন এবং চেয়েছিলেন এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কাতেই হোক।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারতো, যদি এই টুর্নামেন্ট কোনও কারণে বাতিল করতে হয়, সেক্ষেত্রে আগামী দুই বছরের জন্য সদস্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোকেই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে অর্থের যোগান দিতে হতো।

তবে আয়োজক না হলেও ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার জন্য এই আসরেও কিছু অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।

এই টুর্নামেন্টের আয়োজক স্বত্ত্বা শ্রীলঙ্কারই থাকছে, আসর সংযুক্ত আরব আমিরাতে হলেও আনুমানিক ৬৫ লাখ ডলার পাবে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী এই অর্থ ‘হোস্টিং ফি’।

এশিয়া কাপ নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের রাজনীতি

উপমহাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা পৃথিবীর অনেক জায়গার চেয়েই বেশি, বলা বাহুল্য ক্রিকেট বাণিজ্যের জন্য উপমহাদেশের সমর্থকরা একটা বড় উদ্দীপক এবং এই উদ্দীপনার সিংহভাগ কৃতিত্ব ভারত ও পাকিস্তানের।

এই দুই দেশের ক্রিকেট ম্যাচ হলে উপমহাদেশ তো বটেই পশ্চিমেও যারা ক্রিকেট অনুসরণ করেন তারা টেলভিশন পর্দায় কিংবা স্কোরকার্ডে চোখ রাখেন।

এই সমর্থকদের জন্য দু:খের ব্যাপার, যে বিগত ১০ বছরে উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কখনোই একে অপরের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়নি।

আর ঠিক এই কারণে পাকিস্তান ও ভারতের ম্যাচ দেখতে দর্শকরা অপেক্ষা করেন বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপের মতো ইভেন্টের জন্য।

আবার মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান

গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বকাপে একটি ম্যাচের পর এবার এশিয়া কাপে, অগাস্টের ২৮ তারিখ আবারও মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান, এমন একটা ম্যাচের জন্য বাংলাদেশেও আগ্রহ কম থাকেনা।

বিবিসি উর্দুর আব্দুর রশিদ শাকুর লিখেছেন, এশিয়া কাপ নিয়ে সবসময়ই উন্মাদনা ছিল।

“এখানে সনথ জয়সুরিয়া, অজন্তা মেন্ডিসের মতো ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টে আলো ছড়িয়েছেন, শহীদ আফ্রিদি হরভজনরা পারফর্ম করেছেন। কিন্তু ভারত পাকিস্তান ম্যাচের মতো আবেদন কোথাও পাবেন না,” তিনি বলেন।

আব্দুর রশিদ শাকুর দীর্ঘদিন ধরে উপমহাদেশের ক্রিকেট পযবেক্ষণ করছেন। তার মতে, এশিয়া কাপের কেন্দ্রে থাকবে ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই।

দশ মাসে দুইবার মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়ার শীর্ষ দুই দল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে ভারত এখন এক নম্বর দল, পাকিস্তানের অবস্থান তিন নম্বরে।

আব্দুর রশিদ শাকুর বলছেন, “পাকিস্তান ও ভারতের মতো দল কোনও টুর্নামেন্টে থাকাটাই সৌভাগ্যের, তবুও এশিয়া কাপ ক্রিকেটে সম্ভাব্য গুরুত্ব পায় না, যেটা পাওয়া উচিৎ ছিল।”

এখানে কিছু বিষয় কাজ করে আব্দুর রশিদ ঠাকুরের মতে, এশিয়া কাপে যেসব বিষয় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে তার একটি পাকিস্তান ও ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক।

“একের পর এক টুর্নামেন্টে কোনও একটি দল নিজেদের জেদের কারণে খেলা থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছে বা এমন একটি দল পাঠিয়ে যেখানে কোনও তারকা নেই।”

বয়কট আর বিতণ্ডা

যেমন ১৯৯০ সালে ভারত চতুর্থ এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল, পাকিস্তানের সাথে তখন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল চরমে। তাই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সেবার দল পাঠায়নি। তিন-চারটি মূল দলের টুর্নামেন্টে এমন একটা দল নিজেদের সরিয়ে নিয়ে সেটা টুর্নামেন্টের জন্য বড় ধাক্কা।

এই দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতির কারণে ১৯৯৩ সালে এশিয়া কাপ আয়োজনই করা যায়নি।

এমনকি এই চার বছর আগেও যে এশিয়া কাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত হলো সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।

প্রথমে এই আসরটি হওয়ার কথা ছিল ভারতে, এরপর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ভারতে প্রবেশের জটিলতার কথা বিবেচনা করে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআইয়ের তৎকালীন ক্রিকেট সচিব অনুরাগ ঠাকুর ঘোষণা দেন ভারতের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত হবে এশিয়া কাপ।

তবে পাকিস্তান ও ভারতের ইস্যু ছাড়াও একবার এশিয়া কাপে প্রভাব পড়েছিল, ১৯৮৬ সালে ভারত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে রাজি হয়নি একবার, ১৯৮৫ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে একটি টেস্ট সিরিজে ভারতের বিপক্ষে আম্পায়ারদের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়ে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এশিয়া কাপ ২০২২ এর সূচি ও টুর্নামেন্টের প্রক্রিয়া

এশিয়া কাপে মোট খেলবে ছয়টি দল, নিশ্চিত হয়েছে পাঁচটি দল- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।

এছাড়া মূল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সিঙ্গাপুর এবং হংকং-এর মধ্যে একটি কোয়ালিফায়ারে ছয় নম্বর দল নির্ধারিত হবে।

দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, এ গ্রুপে আছে- পাকিস্তান, ভারত ও কোয়ালিফায়ার।

বি গ্রুপে আছে- শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।

২৭শে অগাস্ট, শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান, দুবাই

২৮শে অগাস্ট, ভারত বনাম পাকিস্তান, দুবাই

৩০শে অগাস্ট, বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, শারজাহ

৩১শে অগাস্ট, ভারত বনাম কোয়ালিফায়ার, দুবাই

১লা সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ, দুবাই

২রা সেপ্টেম্বর, পাকিস্তান বনাম কোয়ালিফায়ার, শারজাহ

প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল পরের রাউন্ড- সুপার ফোরে খেলবে।

৩রা সেপ্টেম্বর, বি-১ বনাম বি-২, শারজাহ

৪ঠা সেপ্টেম্বর, এ-১ বনাম ১-২, দুবাই

৬ই সেপ্টেম্বর, এ-১ বনাম বি-১, দুবাই

৭ই সেপ্টেম্বর, এ-২ বনাম বি-২, দুবাই

৮ই সেপ্টেম্বর, এ-১ বনাম বি-২, দুবাই

৯ই সেপ্টেম্বর, বি-১ বনাম এ-২, দুবাই

ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হবে সুপার ফোর পর্বের সেরা দুই দল।

ফাইনাল- ১১ই সেপ্টেম্বর, প্রথম সুপার ফোর বনাম দ্বিতীয় সুপার ফোর, দুবাই।

সবগুলো ম্যাচ বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায় শুরু হবে।

টি টোয়েন্টি ফরম্যাট

এশিয়া কাপ আসর ঐতিহাসিকভাবে ওয়ানডে ফরম্যাটে হলেও ২০১৬ সালে ও এবার ২০২২ সালে আসরটি হতে যাচ্ছে টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে এশিয়ার দলগুলোর জন্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে এই টুর্নামেন্টকে।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বকাপের ফরম্যাটের সাথে তাল মিলিয়ে এশিয়া কাপ খেলা হবে, যেমন ২০১৮ সালে খেলা হয়েছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে।

Tags: ২০২২ সালে এশিয়া কাপ কোথায় হবেAsia Cup 2022ইতোমধ্যে সূচি চূড়ান্ত হয়েছেএশিয়া কাপ ২০২২ এর আপডেট নিউজএশিয়া কাপ ২০২২ এর সূচি প্রকাশএশিয়া কাপ ২০২২ সময়সূচিএশিয়া কাপ ২০২২ সময়সূচি বাংলাদেশ সময় কখনএশিয়া কাপ ২০২২ সময়সূচি বাংলাদেশ সময় কবেএশিয়া কাপ ২০২২ সময়সূচি বাংলাদেশ সময় কবে কখন কোথায়এশিয়া কাপ ২০২২ সময়সূচি বাংলাদেশ সময় কোথায়এশিয়া কাপ ২০২২: শ্রীলঙ্কার টুর্নামেন্ট কেন আমীরাতেএশিয়া কাপ ২০২৩এশিয়া কাপ কবে হবেএশিয়া কাপ ক্রিকেটএশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন তালিকাএশিয়া কাপ ফুটবলএশিয়া কাপ সময়সূচীএশিয়া কাপের ১৫তম আসর শুরু হতে যাচ্ছে এই মাসের শেষেএশিয়া কাপের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণাপাকিস্তান এশিয়া কাপের জন্য দলও ঘোষণা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are makes.