কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি মানব জাতির জন‍্য হুমকি স্বরূপ?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজস্ব ভাষাতে যোগাযোগের পরে ফেসবুক তা বন্ধ করে দেয়

সামনের দশকে যে প্রযুক্তি সবথেকে বেশি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে তা হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যাকে ইংরেজিতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স Artificial Intelligence বলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল কম্পিউটারের একটি সিস্টেম যা বিভিন্ন তথ‍্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে নিজে নিজেই কোন কিছুর বিশ্লেষণ করতে পারে এবং কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারে।

স্বাস্থ‍্য, শহর ব‍্যবস্থাপনা, বিগ ডাটা, আবহাওয়া, সাইবার নিরাপত্তা সহ অনেক ক্ষেত্রেই এর ব‍্যপক ব‍্যবহার পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে। এছাড়া অন‍্যান‍্য ক্ষেত্রেও এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব‍্যবহারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জন‍্য হুমকি হয়ে দাড়িয়ে যেতে পারে। এমন সতর্কবানী উচ্চারণ করেছে স্টিফেন হকিং, এলন মাস্ক সহ বিজ্ঞান-প্রযুক্তির বিশ্ব নেতারা।

এর মধ‍্যে ডিজিটাল জার্নাল গত সপ্তাহের একটি খবরে জানাল যে ফেসবুক তাদের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বন্ধ করতে বা‍ধ‍্য হয়েছে যখন দেখেছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাগুলি তাদের নিজস্ব অন‍্য ভাষাতে কথা বলছে। সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইংরেজী ভাষা ব‍্যবহার করে তাদের যোগাযোগের জন‍্য। প্রযুক্তিবিদরা পরে চেক করে দেখেন সেই বুদ্ধিমত্তা সফলভাবে সকল কাজ করতে পারছে কিনা। বিস্তারিত যোগাযোগ ও লগ সব কিছুই ইংরেজী ভাষাতেই করা হয় যেন আমরা সহজে তা বুঝতে পারি। কিন্তু ফেসবুক তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লগ দেখে ইঞ্জিনিয়াররা হতবাক হয়ে গেল! তারা দেখতে পেলেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাগুলো তাদের নিজেদের মধ‍্যে যোগাযোগের জন‍্য ইংরেজীর পরিবর্তে তাদের নিজস্ব ভাষা ব‍্যবহার করছে। আর তাদের মধ‍্যের সেই যোগাযোগ আমরা বুঝতে পারছিনা।

সিনেমার কল্পকাহিনীর মতন হলেও ব‍্যপারটা ভয়ংকর কোন কিছুতে রূপান্তর হবার আগেই ফেসবুক তাদের সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বন্ধ করে দিল। আর সেই সাথে এতদিনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভয়ংকর দিকের গুঞ্জন সত‍্যিই হল। এই ঘটনার সারমর্ম হল, আমাদেরকে আরো সচেতেনতার সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করতে হবে।

বিস্তারিত: http://www.digitaljournal.com/tech-and-science/technology/a-step-closer-to-skynet-ai-invents-a-language-humans-can-t-read/article/498142

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are makes.